এড.হেদায়েত-উল হক ও মেহেদী হাসান,ঈশ্বরদী ।। রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কান্তি কুমারের বিরুদ্ধে রুপপুর পরমানবিক প্রকল্পের চোরাই লোহা ও তামা আটকের পর বিক্রি করে অর্থ আয় করা, আসামি ধরে অর্থের বিনিময়ে ধারা পরিবর্তন করে চালান দেওয়া, অর্থনিয়ে ইটভাটার জন্য নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি কেটে বিক্রি করায় সহযোগিতা করা,প্রকল্প এলাকা থেকে নানা কারণে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর রুপপুর ফাঁড়ি পুলিশের হাতে জমা দিলে টাকা নিয়ে সেসব ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া,কোম্পানীর তামাসহ এক হাইয়েস ড্রাইভারকে আটক করার পর কোম্পানী বাদী না হওযায় ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ১৫১ ধারায় চালান দেওয়া ও রুপপুর পাকার মোড়ের বিভিন্ন দোকান থেকে প্রায় এক বছর তিন মাস ধরে বিভিন্ন কৌশলে টাকা আদায়সহ এলাকার কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নানাভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে পাড়ায় মহল্লায় পাড়ায় মহল্লায় ক্ষুব্ধ মানুষ। ভুক্তভোগী ব্যক্তি,প্রত্যক্ষদর্শী,বিভিন্ন দোকানী ও এলাকাবাসীদের দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে,গত ২৫ আগস্ট ভোররাত সাড়ে তিনটায় সাহাপুর আজিজল হরিনের মোড় থেকে এএসআই রঞ্জনের নেতৃত্বে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চুরি হওয়া ৮০ মন লোহা ভর্তি একটি কুত্তা গাড়ি আটক করা হয়। ২৫ আগস্ট দুপুরে ১৫০ কেজি লোহা আটক দেখিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। অবশিষ্ট প্রায় ৩ হাজার কেজি লোহা ৩১ আগস্ট বিক্রি করে দেয়। অনেক ব্যক্তিকে প্রকল্পের বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকরী বা বেড়ানোর জন্য প্রকল্প এলাকায় এসে অনিয়মের সাথে জড়িত হওয়ার অভিযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হতে হয়েছে। আটকের পর রুপপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আটককৃত ব্যক্তিদের জমা দেওয়া হলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ১৫১ ধারায় তাদেরকে চালান দেওয়া হয়েছে অনেককে। প্রায় সাড়ে ছয় মাস আগে আণবিক প্রকল্পের ভিতর থেকে ১২৫ কেজি ওজনের ১৯ টুকরা তামা নিয়ে ধরা পড়ে একটি হাইয়েস মাইক্রো গাড়ির ড্রাইভার। কোম্পানী বাদী না হওয়ায় ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঐ ড্রাইভারকে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান করা হয়। ঐ আটককৃত তামা ৪ মাস পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রগারে রেখে পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে কেজি প্রতি ৪/৫’শ টাকা দামে চোরাই সিন্ডিকেড সদস্যদের নিকট বিক্রি করা হয়। এ বিষয় নিয়ে ফাঁড়ির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। পদ্মানদী ও নদী এলাকা থেকে বিভিন্ন ইটভাটার জন্য বিশেষ সিন্ডিকেডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু ও মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে এসব বালু ও মাটি কাটা সিন্ডিকেডকে সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে এসআই কান্তি কুমারের বিরুদ্ধে। এই বালু ও মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ইতি মধ্যে ঐ পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় দু’যুবককে বন্ধুকের গুলির মুখে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এমনকি সম্প্রতি নুরুল্লাহ পুরের একটি ইটভাটার হতদরিদ্র শ্রমিকদের ফাঁড়িতে আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার পর লিখিত মুচলেকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্রমতে, সংশ্লীষ্ট বিভাগের ঘুষ ও দূর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমী দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাধ্যমে রুপপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এবং রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এলাকার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি ও নারী পুরুষের মধ্যে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হলে তলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। মুটোফোনে এসআই কান্তির কাছে এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি অস্বীকার করেন।#
0 Comments